মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪৭ অপরাহ্ন
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে নিজ ঘরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা এটি হত্যাকাণ্ড।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের বাসুরচর গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন- সৌদি প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা (৪২), বড় মেয়ে মোহনা (১১) ও ছোট মেয়ে বন্যা (৭)।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ তিনটি মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, সকাল সোয়া ৯টার দিকে মোহনার এক বান্ধবী বাড়িতে গিয়ে তাকে ডাকতে গেলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশের সিআইডি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
সাহেদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ উদ্দিন জানান, সকাল ১০টার দিকে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তিনি ঘটনা জানতে পারেন। পরে বাড়িতে গিয়ে তিনজনের মরদেহ দেখতে পান। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় মোহনাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ঘরের দরজা খোলা ছিল। সকালে মোহনার বান্ধবী বাড়িটিতে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢুকে তিনজনকেই মৃত অবস্থায় পায়। এরপরই ঘটনাটি জানাজানি হয়।
তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঘরে ধস্তাধস্তির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এরপরও আমরা ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলেই আশঙ্কা করছি। সিআইডির ফরেনসিক টিমের সংগৃহীত আলামত এবং পোস্টমর্টেম রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, সন্দেহভাজনদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি রয়েছে। এটি হত্যাকাণ্ড হলে সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
পুলিশ সুপার আরও জানান, তাসলিমার স্বামী ২০১৭ সাল থেকে সৌদি আরবে আছেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি বাড়িতে এসেছেন মর্মে কেউ বলেনি।